।। চিরনবীনা ।।
—মৃনাল মান্না
এখান হতে গিয়ে দিগন্তে মিলেছে, দীর্ঘ বনভূমি,
কাঁঠালের ছায় বসে বসে তাই দেখিতেছিলাম আমি।
মাঝখান দিয়ে নদী বয়ে গিয়ে পৃথক করেছে তাকে,
সে মায়াবনানী কোন জাদুবলে আমায় কাছে ডাকে।
সে মায়াজালে ধরা দিয়ে শেষে, গিয়ে পরি তার নীড়ে,
সবই যেন হেথা রূপকথার ন্যায়, টলমল নদী তীরে।
গাছগুলি সব উপরে উঠিয়া চাঁদোয়া করেছে রচনা,
তার তলে আমি কত ভ্রমিলাম, মিটিল না তবু রসনা।
দেখিলাম সব ফুলরাশি হেথা, হাওয়ার তালে দুলে,
প্রজাপতির তোরে মধু বিলায়ে, আপনারে গেছে ভুলে।
পাখিগণ সব উপরে উঠিয়া, জমিয়ে বসেছে সভা,
কেউবা সবুজ, কেউ বেগুনি, কারোর রক্তিম প্রভা।
রকমারি সব লতা-গুল্ম, মাথা তুলে বহু ক্লেশে,
বৃক্ষকে তারা আকড়ে ধরিয়া, বেঁচে আছে সুখে হেসে।
বন-অলিন্দে এক সরোবর, স্বর্গে যেমন থাকে!
কমলের দল ফুটে আছে তাতে, হাঁসেরা আঁকে-বাকে।
এমন সময় দূরে দেখিলাম, হরিণ পালের খেলা,
খুব সুন্দর ছিমছাম দেহ, মাথায় শিং-এর মেলা।
কিন্তু সবের ইতি ঘটিয়ে, বাঘমামা দিলে গর্জন,
প্রাণভয়ে সব ছুটিয়া পালাল, কেপে গেলে সারা তপোবন।
দিনশেষে ঐ চাঁদ যে উঠিল, জোৎস্না ভরিয়ে বনে,
মোহময়ীর ঐ স্নিগ্ধ স্বরূপ, ভুলিবনা এ জীবনে।
সময় গেলে রূপ মূর্ছায়, দেহ বদলায়, কি না?
প্রকৃতি কভু বদলায় না, সে তো চিরনবিনা ।।
জীবনানন্দ আর রবীন্দ্রনাথের ভাবশিষ্য মনে হচ্ছে , চরৈবেতি … চালিয়ে যা ভাই 🖤
LikeLiked by 1 person
Thnx bro
LikeLike
Right u r
LikeLike